বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন অভিযোগ করেছেন যে, বিগত স্বৈরাচারী সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ওপর অন্যায় ও অত্যাচার চালিয়েছিল এবং তাকে বিনা চিকিৎসায় হত্যা করার চেষ্টা করেছিল। তিনি দাবি করেন, উন্নত চিকিৎসার অভাবে দিন দিন বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং তার আপসহীন নেতৃত্বের কারণেই শেখ হাসিনার পতন হয়েছে।

রোববার (৩০ নভেম্বর) বিকালে মাধবদীতে নরসিংদী জেলা মহিলা দলের আয়োজিত এক দোয়া মাহফিল ও নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এই সমাবেশটি বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনায় দোয়া মাহফিল এবং তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হয়।

খায়রুল কবির খোকন বলেন, “আপনারা দেখছেন বিগত সময়ে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ওপর কতটা অন্যায় অত্যাচার চালিয়েছিল স্বৈরাচারী সরকার। তাকে চিকিৎসা না দিয়ে কারাগারে রেখেছিল।” তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবার থেকে একাধিকবার আবেদন-নিবেদন ও দরখাস্ত দেওয়া হলেও আইন মন্ত্রণালয় থেকে ‘অপব্যাখ্যা’ দিয়ে তাকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়নি।

খোকন উল্লেখ করেন, বেগম খালেদা জিয়া সব সময় দেশ ও দেশের মানুষের কথা ভেবেছেন এবং কখনো স্বৈরাচারী সরকারের সঙ্গে আপস করেননি। তিনি বলেন, যদি তিনি শেখ হাসিনার সঙ্গে আপস করতেন, তাহলে বিলাসবহুল জীবন-যাপন করতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা করেননি। তাই তিনি আজ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।

তিনি তার বক্তব্যের সময় বেগম খালেদা জিয়ার বহুল প্রচলিত একটি উক্তি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “তিনি সব সময় বলতেন আমার তিনটি পরিবার, একটি এ দেশের জনগণ, একটি আমার রাজনৈতিক দল, একটি আমার পরিবার— এটি ছাড়া আমার আর কোনো ঠিকানা নাই।” খায়রুল কবির খোকন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বেগম খালেদা জিয়ার ভূমিকার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তার আপসহীন নেতৃত্বের কারণেই শেখ হাসিনার পতন হয়েছে বলে দাবি করেন। তিনি সব নেতাকর্মী ও জনগণকে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করার আহ্বান জানান।

সভায় খায়রুল কবির খোকন ছাড়াও সাবেক এমপি ও স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শিরিন সুলতানা, মাধবদী থানা বিএনপির সভাপতি আবু সালেহ চৌধুরী, নরসিংদী জেলা মহিলা দলের সভাপতি উম্মে সালমা মায়া, সাধারণ সম্পাদক স্বপ্না আহমেদ, নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদসহ বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।