↩ নিউজ
প্রিন্ট এর তারিখঃ ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮:০২ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ২:২৫ এ.এম

চট্টগ্রাম বন্দরে ১০ মাসে ২৮.৫ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিং

✍️ প্রতিবেদক: দীপ্ত বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক

চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে ২৮ লাখ ৪৯ হাজার ৫৪২ টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়কালে কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ২৮ লাখ ৪৯ হাজার ৫৪২ টিইইউএস, কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ১১ কোটি ৫০ লাখ ৬৭ হাজার ২০০ মেট্রিক টন এবং জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে তিন হাজার ৫৫২টি।

এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কনটেইনার বেড়েছে এক লাখ ৩২ হাজার ৩২৮ টিইইউএস, কার্গো বেড়েছে এক কোটি ২৯ লাখ ৮ হাজার ১৭৪ মেট্রিক টন এবং জাহাজ বেড়েছে ৩৫১টি। প্রবৃদ্ধির হার ছিল যথাক্রমে কনটেইনারে ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ, কার্গোতে ১২ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং জাহাজে ১০ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ১২ লাখ ১৩ হাজার ৮০৫ টিইইউএস, কার্গো ৪ কোটি ৫২ লাখ ৮২ হাজার ৯০৭ মেট্রিক টন এবং জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে এক হাজার ৪২২টি।

এই সময়ের তুলনায় বিগত অর্থ বছরে কনটেইনার কম ছিল এক লাখ ১১ হাজার ৮৮৮ টিইইউএস, কার্গো কম ছিল ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৪০৫ মেট্রিক টন এবং জাহাজ কম ছিল ১৪১টি। ফলে প্রবৃদ্ধির হার ছিল যথাক্রমে কনটেইনারে ১০ দশমিক ১৫ শতাংশ, কার্গোতে ১৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং জাহাজে ১১ শতাংশ।

বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, “চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজের ওয়েটিং টাইম আগের তুলনায় কমেছে। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে ৯ দিন, অক্টোবরে ১৮ দিন এবং নভেম্বরে ১৯ দিন জাহাজের ওয়েটিং টাইম শূন্য ছিল। বর্তমানে বন্দরে আগত জাহাজ অন অ্যারাইভাল বার্থ পাচ্ছে। এতে আমদানি রপ্তানিকারকরা দ্রুত সময়ের মধ্যে আমদানি করা পণ্য ডেলিভারি নিতে পারছেন এবং রপ্তানি পণ্য যথাসময়ে জাহাজীকরণ করতে পারছেন। যার সার্বিক প্রভাবে পোর্ট লিড টাইম কমেছে।”

তিনি আরও বলেন, “মডার্ন কার্গো কনটেইনার হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংযোজন, ইয়ার্ড ক্যাপাসিটির সম্প্রসারণ, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সর্বোপরি চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিকদের নিরলস পরিশ্রম ও বিভিন্ন পর্যায়ের বন্দর ব্যবহারকারীদের অব্যাহত সহযোগিতার কারণে বন্দরের হ্যান্ডলিং কার্যক্রমে ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।”