জন্মদিনে নারীর নিরাপত্তা ও ক্ষমতায়ন নিয়ে পাঁচ প্রতিশ্রুতি জানালেন তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার জন্মদিনে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক পোস্টে বাংলাদেশের নারীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে পাঁচটি অগ্রাধিকারভিত্তিক পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন। তিনি লেখেন, দ্রুত বদলে যাওয়া ডিজিটাল বিশ্ব যেমন নতুন সুযোগ তৈরি করছে, তেমনি আমাদের মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগও বাড়ছে। প্রতিদিন বহু নারী অনলাইন ও অফলাইনে হয়রানি, হুমকি ও সহিংসতার মুখোমুখি হচ্ছেন—এই বাস্তবতা বদলাতে হবে।
তারেক রহমান বলেন, “আমাদের মেয়েরা যে বাংলাদেশে বড় হবে, তা যেন নিরাপদ, সম্মানজনক ও সুযোগে পরিপূর্ণ হয়—এটাই আমাদের দায়িত্ব।” এজন্য বিএনপি যে পাঁচটি জরুরি উদ্যোগ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে, তা হলো—
১. জাতীয় অনলাইন সেফটি সিস্টেম
সাইবার বুলিং, হুমকি, তথ্য ফাঁসসহ যেকোনো অনলাইন নির্যাতন দ্রুত রিপোর্ট ও সমাধানের জন্য ২৪/৭ হটলাইন, অনলাইন পোর্টাল ও প্রশিক্ষিত রেসপন্স টিম। পাশাপাশি বড় প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে কাজ করে বাংলা কনটেন্ট দ্রুত সুরক্ষিতভাবে মডারেশনের ব্যবস্থা।
২. জনজীবনে যুক্ত নারীদের সুরক্ষা প্রোটোকল
সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, অ্যাকটিভিস্ট বা যে কোনো নারী পাবলিক লাইফে আক্রমণের শিকার হলে দ্রুত আইনি ও ডিজিটাল সহায়তা নিশ্চিত করতে জাতীয় মানদণ্ড।
৩. ডিজিটাল নিরাপত্তা শিক্ষা
স্কুল–কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার শুরু থেকেই বাস্তবধর্মী ডিজিটাল নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ, সেফটি ফোকাল পয়েন্ট এবং নিয়মিত সচেতনতামূলক কার্যক্রম।
৪. কমিউনিটি পর্যায়ে নিরাপত্তা জোরদার
নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা, উন্নত স্ট্রিট লাইটিং, কমিউনিটি হেল্পডেস্ক এবং সংবেদনশীল রেসপন্ডার—যাতে নারীরা প্রতিদিনের জীবনে আরও আত্মবিশ্বাসী ও সুরক্ষিত থাকেন।
৫. নারীর নেতৃত্ব বিকাশের উদ্যোগ
নারীদের নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ, মেন্টরশিপ নেটওয়ার্ক এবং কর্মক্ষেত্রে শিশু যত্ন সুবিধা বাড়ানো—যাতে পরিবার ও সমাজের সব স্তরে নারীর অংশগ্রহণ আরও শক্তিশালী হয়।
তারেক রহমান বলেন, “নারীরা যখন নিরাপদ, সমর্থিত ও ক্ষমতায়িত থাকে—বাংলাদেশ তখন আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। আমাদের মেয়েদের ভবিষ্যতের জন্য সেই বাংলাদেশ গড়তে হবে।”