↩ নিউজ
প্রিন্ট এর তারিখঃ ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭:৪২ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ৯:২৫ পি.এম

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ১৬ মাস পর আ’লীগের ৩৫৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

✍️ প্রতিবেদক: দীপ্ত বাংলাদেশ নিউজ ডেস্ক

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ১৬ মাস পর ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে আওয়ামী লীগের ৩৫৯ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আরও ২০০ থেকে ৩০০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে।

বকশীগঞ্জ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক শাহরিয়ার আহমেদ সুমন বৃহস্পতিবার রাতে বকশীগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন। বিষয়টি গোপন থাকলেও সোমবার প্রকাশ্যে এলে থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।

মামলার আসামিদের মধ্যে সাবেক এমপি নূর মোহাম্মদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তার, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি শাহিনা বেগম, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষকরাও রয়েছেন। তাদের অনেকেই জুলাই আন্দোলনের আগের মামলাগুলোতেও অভিযুক্ত বা পলাতক।

মামলায় বলা হয়েছে, ১৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী মিছিলে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালানো হয় এবং স্থানীয় বিসমিল্লাহ হোটেলে আগুন দেওয়া হয়—যার ক্ষতি প্রায় ১৫ লাখ টাকা। পরদিন আরেকটি মিছিলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগও তোলা হয়েছে।

বাদী শাহরিয়ার সুমন বলেন, ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পর দীর্ঘ ১৬ মাস পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর তিনি মামলা করতে বাধ্য হয়েছেন। তার দাবি—“সারা দেশে ১৬’শ মানুষের হত্যাকাণ্ডের পরেও তাদের অনুশোচনা নেই; বরং নাশকতা অব্যাহত রেখেছে।”

এদিকে এনসিপি জামালপুর জেলা শাখার যুগ্ম সদস্যসচিব তৌহিদুজ্জামান বলেন, তারা কাউকে হয়রানি করতে মামলা করেননি এবং নিরপরাধ কেউ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন—সেটাই তাদের অবস্থান।

বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম প্রিন্স দাবি করেন, মামলায় চলাফেরা করতে অক্ষম অসুস্থ মানুষকেও আসামি করা হয়েছে। তাদের দল প্রতিহিংসার রাজনীতি বিশ্বাস করে না বলেও জানান তিনি।

ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, ভিডিও ও ছবিসহ পর্যাপ্ত প্রমাণ যাচাই করেই মামলা নেওয়া হয়েছে, তদন্ত শেষে গ্রেপ্তার করা হবে।