শীতের আমেজ ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে। এই সময়ে ঠাণ্ডা-কাশির মতো সাধারণ রোগ সহজেই আক্রমণ করে শরীরকে দুর্বল করে তোলে। তাই মৌসুমে শরীর গরম রাখা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজন সঠিক খাদ্যাভ্যাস। এ ক্ষেত্রে খেজুর হতে পারে অন্যতম উপকারী খাবার। ফাইবার, আয়রন, ভিটামিন ও ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর এই ফল শীতে শরীরের উষ্ণতা ধরে রাখতে কার্যকর। গরম দুধের সঙ্গে খেজুর খেলে উপকারিতা আরও বেড়ে যায়।
চলুন জেনে নেওয়া যাক খেজুরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা—
হার্ট ভালো রাখে
শীতকালে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কিছুটা বাড়ে। নিয়মিত খেজুর খেলে হৃদপিণ্ড শক্তিশালী থাকে এবং হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমে। খেজুরে থাকা ফাইবার শরীরের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।
হাঁপানির সমস্যা কমায়
আবহাওয়ার পরিবর্তনে অনেকেই শীতে হাঁপানিতে ভোগেন। চিকিৎসকদের মতে, সকাল ও সন্ধ্যায় এক–দু’টি খেজুর খেলে শরীর গরম থাকে এবং হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে
শীতের কারণে ত্বক স্বভাবতই শুষ্ক হয়ে যায়। প্রতিদিন খেজুর খেলে ত্বক শুষ্কতা থেকে রক্ষা পায়, বলিরেখা কমে এবং ত্বক স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরে পায়।
স্নায়ুতন্ত্র সুস্থ রাখে
খেজুরে থাকা পটাশিয়াম ও সামান্য সোডিয়াম স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা ভালো রাখতে সহায়তা করে। নিয়মিত খেজুর খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা
ওজন বাড়ানো বা কমানো—দুই ক্ষেত্রেই খেজুর কার্যকর ভূমিকা রাখে। খেজুরের প্রাকৃতিক শর্করা ও প্রোটিন ওজন বাড়াতে সাহায্য করে, আর শশার সঙ্গে খেজুর খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে
খেজুরে প্রচুর আয়রন থাকায় এটি রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। রক্তস্বল্পতা, ত্বকের ফ্যাকাশে ভাব, দুর্বলতা—এসব সমস্যা দূর করতে খেজুর উপকারী। গর্ভবতী নারীদের জন্যও এটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর খাদ্য।



