বাংলাদেশের স্বর্ণ বাজারে আবারও মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) সোমবার সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ভরিতে ২,৩১০ টাকা বাড়িয়ে ১,৭১,২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই নতুন দাম মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে।
বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্যবৃদ্ধির কারণে এই সমন্বয় করা হয়েছে। নতুন দামে ২১ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরি ১,৬৩,৪৯৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১,৪০,১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের ভরি ১,১৫,৯০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাজুস আরও জানিয়েছে, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ৫% ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬% মজুরি যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, ৩ মে বাজুস স্বর্ণের দাম ভরিতে ৩,৫৭০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১,৬৮,৯৭৬ টাকা নির্ধারণ করেছিল। তবে মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে আবারও দাম বাড়ানো হলো।
চলতি বছরে এটি স্বর্ণের দামের ২৮তম সমন্বয়। এর মধ্যে ২০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে এবং মাত্র ৮ বার কমানো হয়েছে। গত বছর ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল, যার মধ্যে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল এবং ২৭ বার কমানো হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দামের ঊর্ধ্বগতির প্রভাব এবং স্থানীয় চাহিদা বৃদ্ধির কারণে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ছে। তবে ক্রেতারা বারবার দামের পরিবর্তনে হতাশা প্রকাশ করছেন।
বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, “স্থানীয় বাজারের পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা স্বর্ণের দাম সমন্বয় করি।”
স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, বাজার স্থিতিশীল হলে দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং ক্রেতাদের আস্থা ফিরে আসবে।