সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড গেছেন। বুধবার রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ছাড়েন। বিমানবন্দরের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সূত্রগুলো জানায়, আবদুল হামিদের দেশত্যাগে কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না, ফলে তাঁকে আটকে দেওয়ার কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ ও শ্যালক ডা. নওশাদ খান। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দেশের চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি থাইল্যান্ডে গেছেন উন্নত চিকিৎসার জন্য।
আবদুল হামিদ ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। এরপর ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দুই মেয়াদে টানা ১০ বছর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করার পর ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল মো. সাহাবুদ্দিন তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন।
বঙ্গভবন ছাড়ার পর আবদুল হামিদ রাজধানীর নিকুঞ্জে পারিবারিক বাসায় বসবাস করছেন। সম্প্রতি তিনি রাজনৈতিক বিতর্কেও জড়িয়ে পড়েছেন। ছাত্র আন্দোলনে গুলি ও হামলার অভিযোগে কিশোরগঞ্জ থানায় করা একটি মামলায় তাঁর নামও রয়েছে। ওই মামলায় মোট ১২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
তবে এই মামলার সঙ্গে তাঁর বিদেশযাত্রার কোনো সম্পর্ক নেই বলে বিমানবন্দর ও পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।