ইসরাইলের অব্যাহত আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা পরিণত হয়েছে মৃত্যুপুরীতে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে ইসরাইল এখন পর্যন্ত গাজায় ১ লাখ টনেরও বেশি বোমা ফেলেছে বলে জানিয়েছে গাজার সরকারি জনসংযোগ বিভাগ।
তুরস্কের আনাদোলু ও মিডল ইস্ট মনিটরের প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ৬২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত বা নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০ হাজারের বেশি মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন, যাদের ভাগ্য অনিশ্চিত।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরাইল ১২ হাজারের বেশি ‘গণহত্যা’ ঘটিয়েছে, যার মধ্যে ১১ হাজার ৯২৬টি টার্গেট করা হয়েছে নির্দিষ্ট ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোর বিরুদ্ধে। এই সহিংসতায় ২,২০০ পরিবার পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, ৬,৩৫০ জনের নাম মুছে গেছে সিভিল রেজিস্ট্রি থেকে।
এছাড়া কবরস্থান পর্যন্ত রেহাই পায়নি। ইসরাইলি বাহিনী ২,৩০০টি মৃতদেহ তুলে নিয়েছে এবং সাতটি গণকবর বানিয়েছে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে, যেখান থেকে এখন পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ৫২৯টি দেহ।
ধর্মীয় অবকাঠামোর ক্ষতির চিত্রও ভয়াবহ। ইসরাইলি হামলায় ৮২৮টি মসজিদ সম্পূর্ণ এবং ১৬৭টি আংশিকভাবে ধ্বংস হয়েছে। তিনটি গির্জা ও ৬০টি কবরস্থানের মধ্যে ১৯টি পুরো বা আংশিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।
এই সংকটময় পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস রাশিয়ার বিজয় দিবসে যোগ দিতে মস্কো গেছেন। ১০ মে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন, যেখানে গাজার মানবিক বিপর্যয় ও শান্তি উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা হবে।