ঢাকার দোহার উপজেলার প্রবাসফেরত সোহরাব ব্যাপারীর সন্ধানে হেলিকপ্টার ও ড্রোন দিয়ে তল্লাশি চালানো হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। শুক্রবার বেলা ১১টায় ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের চর ঝাউকান্দা এলাকায় জমি দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। আজ শনিবারও সারাদিন ধরে তল্লাশি চললেও সন্ধ্যা পর্যন্ত সোহরাব ব্যাপারীর সন্ধান মেলেনি।
সোহরাব ব্যাপারী দোহার উপজেলার হরিচন্ডী গ্রামের বাসিন্দা এবং মিলন ব্যাপারীর ছেলে। দীর্ঘ প্রবাস জীবনের পর তিনি দেশে ফিরে পারিবারিক জমিজমা দেখাশোনায় মনোযোগ দেন। শুক্রবার তিনি চাচাতো ভাই মাহবুবসহ আরও কয়েকজন আত্মীয়ের সঙ্গে পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে ধানখেত ও কাঁশবন ঘুরতে যান। সেখানে হঠাৎ পানির পিপাসা লাগলে তিনি একা পাশের কোনো জায়গায় চলে যান। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি আর ফিরে না আসায় আত্মীয়রা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
পরিবার ও স্থানীয়দের উদ্বেগ বাড়তেই থাকে। পরে চরভদ্রাসন থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করা হয়। আজ শনিবার সকাল থেকে সোহরাবের স্বজনরা প্রায় শতাধিক মানুষ নিয়ে তল্লাশিতে অংশ নেন। পুলিশের সহায়তায় হেলিকপ্টার ও ড্রোনের মাধ্যমে চরভদ্রাসনের বিস্তীর্ণ কাঁশবন, ধানক্ষেত ও আশপাশের নদী এলাকা খুঁজে দেখা হয়। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁর কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রজিউল্লাহ খান জানান, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা তল্লাশি ব্যর্থ হলেও রোববার সকাল থেকে আবারও নতুনভাবে অভিযান শুরু করা হবে। পুলিশ সব ধরনের সম্ভাব্য পথ অনুসন্ধান করছে।
সোহরাবের চাচাতো ভাই মাহবুব হোসেন বলেন, “আমরা নিজেরা যা পারছি করছি, কিন্তু এখন প্রতিটি মুহূর্ত আতঙ্কে কাটছে। কিছু একটা যেন ঘটে গেছে, এই ভয়টা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।” সোহরাবের হঠাৎ নিখোঁজ হওয়া স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। এলাকাবাসী ও স্বজনদের এখন একটাই প্রার্থনা—সোহরাব যেন নিরাপদে ফিরে আসেন।