বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার পুনরায় চালুর বিষয়ে আগামী ১৫ মে দুই দেশের পরামর্শক পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ বৈঠকে অংশ নিতে প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নিয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া ১৪ মে মালয়েশিয়া সফরে যাচ্ছেন।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সরোয়ার আলম জানিয়েছেন, “শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে আলোচনা হবে। দুই দেশের নিয়ম ও শর্ত অনুসারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” ২১ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
মালয়েশিয়া আগামী ছয় বছরে প্রায় ১২ লাখ বিদেশি কর্মী নিতে চায়, যা বাংলাদেশের জন্য বড় সুযোগ। দেশটিতে সাধারণ শ্রমিকদের গড় আয় মধ্যপ্রাচ্যের তুলনায় অনেক বেশি।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ (বায়রা)-এর সাধারণ সদস্যরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “একটি উন্মুক্ত ও নিয়মিত বাজারই আমাদের প্রয়োজন। মামলা ও বিভাজনের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের কাজ হলো নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি করা, এজেন্সিগুলোর জন্য কাজ আনা নয়। শ্রমবাজার খুললে কেউ সরাসরি কর্মী পাঠাবে, কেউ সহযোগী হিসেবে লাভবান হবে—সবাই উপকৃত হবে।
তবে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, মামলা-পাল্টা মামলার সংস্কৃতি এবং সিন্ডিকেট-অ্যান্টি সিন্ডিকেট দ্বন্দ্ব শ্রমবাজার খুলে দেওয়ার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আগামী ২১–২২ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের তৃতীয় বৈঠকে ১২ লাখ কর্মী পাঠানোর সম্ভাব্য রূপরেখা চূড়ান্ত হতে পারে।
বায়রার মহাসচিব, মুক্তিযোদ্ধা আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, “ব্যবসা কে পেল না পেল, সেটা মুখ্য নয়—নিরাপদ ও স্বল্প খরচে অভিবাসনই হওয়া উচিত আমাদের মূল লক্ষ্য।”