রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় ব্যবসায়ী লালচাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের সত্য জানতেই তদন্ত ও তথ্যানুসন্ধানী কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, নিরপেক্ষ অনুসন্ধানের মাধ্যমে ঘটনার প্রকৃত পটভূমি উন্মোচন করা হবে এবং তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে।
সোমবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, সোহাগ হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে একটি চিহ্নিত মহল রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত করার অপচেষ্টা করছে। জাতীয় নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করতে এবং বিএনপিকে কালিমালিপ্ত করতেই এমন চক্রান্ত চলছে।
তিনি বলেন, বিএনপির অবস্থান সব সময় স্পষ্ট—কোনো অপরাধীর রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না। ব্যক্তির অপরাধের দায় দল বহন করে না। বরং আমরা বরাবরই দোষীদের বিচারের আওতায় আনার পক্ষে।
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় দলের শীর্ষ নেতা তারেক রহমানকে অপপ্রচার, কুৎসা ও অশালীন আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। এটি শুধু রাজনৈতিক শিষ্টাচারের লঙ্ঘন নয়, বরং দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের ওপরও আঘাত।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের যুব সমাজকে ভুল বার্তা দিতে কোমলমতি শিশু-কিশোরদের কণ্ঠ ব্যবহার করে যারা কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ছড়াচ্ছে, তারা জাতির মূল্যবোধ ধ্বংসে লিপ্ত। জনগণের কাছে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে বিএনপি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, যেকোনো মূল্যে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা করাই এখন প্রধান দায়িত্ব। গুটিকয়েক ষড়যন্ত্রকারীর অপপ্রয়াসে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়বে না।
সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।