আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে দেশে অস্থিরতা তৈরি করছে—এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা। বুধবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই অভিমত ব্যক্ত করা হয়।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিএনপির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে দেওয়া বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দুর্বৃত্তদের হামলায় চারজন নিহতের ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রতিবন্ধকতা তৈরির ষড়যন্ত্র।
তিনি বলেন, সরকারের ব্যর্থতায় ১৪৪ ধারা ও কারফিউ জারি করতে হয়েছে, যা একটি পূর্বপরিকল্পিত নীলনকশারই অংশ। এই ধরনের সহিংসতা পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলছে এবং নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাম্প্রতিক বৈঠক নিয়ে স্থায়ী কমিটিকে অবহিত করেন বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদ। আজ রাতেও ঐক্যমতের বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
বৈঠকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে বলা হয়, হত্যা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতির মতো অপরাধ বেড়েই চলেছে। সরকার এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। দায়িত্বরত উপদেষ্টারা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে শুধু মিডিয়ায় বক্তব্য দিচ্ছেন।
মিটফোর্ডে ছাত্রলীগের কর্মী সোহাগ হত্যার ঘটনায় বিএনপিকে জড়ানো সম্পূর্ণ অনৈতিক ও প্রপাগান্ডামূলক বলেও মন্তব্য করা হয় বিবৃতিতে। বিশেষ করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে অশোভন বক্তব্যে গোটা জাতি মর্মাহত—বলেন বিএনপি মহাসচিব।