রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ ও আহতদের রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর অবস্থায় থাকা রোগীদের ভর্তি করা হয়েছে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।
সোমবার বিকেল থেকে ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণজুড়ে তৈরি হয় এক হৃদয়বিদারক চিত্র—জরুরি ভিত্তিতে রক্তের জন্য বারবার মাইকিং করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে পজিটিভ ব্লাড গ্রুপের পর্যাপ্ততা থাকলেও ও নেগেটিভ রক্তের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
বার্ন ইনস্টিটিউটের ভেতরে ও বাইরে স্বেচ্ছাসেবক ও হাসপাতাল কর্মীরা মাইকিং করে সাধারণ মানুষের কাছে রক্তের আবেদন জানাচ্ছেন। এমনকি ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরাও হ্যান্ডমাইকে বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন: ও নেগেটিভ রক্তের জরুরি প্রয়োজন, দয়া করে এগিয়ে আসুন!
দেখা গেছে, দলে দলে শিক্ষার্থী, স্বেচ্ছাসেবক ও সাধারণ মানুষ রক্ত দিতে আসছেন। কিন্তু ও নেগেটিভ রক্ত না পাওয়ায় অনেকেই হতাশা প্রকাশ করছেন।
এক স্বেচ্ছাসেবক জানান, উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে আমাদের একজন আহত রোগীর জন্য ও নেগেটিভ ব্লাড লাগছে। অন্য সব গ্রুপ ম্যানেজ হয়েছে, কিন্তু ও নেগেটিভ কোথাও পাচ্ছি না।
এছাড়া, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, উত্তরা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আহতদের চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকরা জানান, অধিকাংশ রোগী দগ্ধ অবস্থায় ভর্তি হয়েছেন এবং অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।