জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য আহসান হাবীব লিংকন বলেছেন, বাংলাদেশে প্রস্তাবিত পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি বাস্তবায়ন মানে এ দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা। এই পদ্ধতির মাধ্যমে জনগণের ইচ্ছার বিপরীতে রাজনৈতিক সুবিধা নিশ্চিত করা হবে, যা একটি অশুভ উদ্দেশ্যের বহিঃপ্রকাশ।
শনিবার রাজধানীর শিশুকল্যাণ পরিষদে গণতান্ত্রিক ঐক্য বাংলাদেশ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ সরকার আর বাংলাদেশের থাকবে না, সেটা হয়ে উঠবে দিল্লিনির্ভর একটি শাসনব্যবস্থা। দিল্লির কাছ থেকে আশ্রয় পাওয়া আওয়ামী লীগ তাদের ঋণ শোধের পথে এই দেশকে ভারতীয় প্রভাবের অধীনস্থ করতে চায়।
আহসান হাবীব লিংকন বলেন, এনসিপি সরকার থেকে বিভিন্ন অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে দেশজুড়ে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। আর এর ফাঁকে মার্কিনিরা আমাদের ওপর যে শুল্কনীতি চাপিয়ে দিয়েছে, তা অত্যন্ত অমানবিক ও বৈষম্যমূলক।
দেশবাসীকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ঘোড়া ভালো, ডিম ভালো—তাই বলে ঘোড়ার ডিম ভালো নয়। জামায়াত ভালো, ইসলাম ভালো—তাই বলে জামায়াতে ইসলাম ভালো নয়।
তিনি পিআর পদ্ধতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বলেন, এই পদ্ধতি চালু হলে বিএনপি সবচেয়ে বেশি আসন পাবে, এরপর আওয়ামী লীগ। তাহলে জামায়াত-এনসিপি কী পাবে? যদি তারা সত্যিই পিআর চায়, তাহলে তা নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করে, জনগণের ভোট নিয়ে সংসদে গিয়েই আইন পাশ করুক। ড. ইউনূসের কাঁধে বন্দুক রেখে এই পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।
সভায় সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক ঐক্য বাংলাদেশের সভাপতি রফিকুল ইসলাম। আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সম্পাদক শাহ আবদুর রহমান। তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতি আমাদের সমাজ কাঠামোকে ভেঙে ফেলবে। পশ্চিমা শক্তিগুলো দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বিভক্ত করে রেখেছে—মুসলমানদের দলে দলে ভাগ করেছে, ইসলামকে খণ্ডিত করেছে। পিআর পদ্ধতি সেই বিভাজনকেই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে।