সংসদীয় সীমানা পুনর্বিন্যাস নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আয়োজিত শুনানিতে বাগেরহাট জেলার চারটি আসন পুনর্বহালের জোর দাবি জানিয়েছেন জেলার বিভিন্ন আসন থেকে আগত প্রতিনিধিরা।
সোমবার (২৫ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এ শুনানিতে অংশ নিয়ে তারা এ দাবি তুলে ধরেন।
শুনানি শেষে বাগেরহাট ১ আসনের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান দিপু গণমাধ্যমকে বলেন, “দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বাগেরহাটে চারটি আসন। হঠাৎ করে ইসি আমাদের বলেছেন চারটি আসন থাকবে না। একটি আসন বাদ দেওয়া বাগেরহাটবাসী মানে না।”
তিনি আরও বলেন, “এটা অযৌক্তিক, আইন পরিপন্থী এবং বাস্তবসম্মত নয়। ইসির এ সিদ্ধান্ত জনস্বার্থের পরিপন্থী।আমরা চাই বাগেরহাট জেলায় যে চারটি আসন ছিল—বাগেরহাট এক, দুই, তিন এবং চার—পূর্বের মত বহাল থাকবে এবং বাগেরহাটের সমগ্র জনগণ সেই বহাল চারটি আসনেই তাদের আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নিবে।”
একই আসনের আরেক প্রতিনিধি ব্যারিস্টার মোহাম্মাদ জাকির হোসেন বলেন, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার যে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন, সেই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া। সেটা না দিয়ে উনরা বাগেরহাটের জনগণের যে চারটি আসন ছিল, সেখান থেকে একটি আসন কমিয়েছে। আসন কমিয়ে বাগেরহাটবাসীর যে অধিকার, সে অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।”
তিনি জানান, “ইসি তাদের ওপর যে অর্পিত দায়িত্ব আছে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, তার লংঘন কিছুটা ঘটেছে।
যদি এটা উনরা ঠিক করে দেন, তাহলে আমরা বলব যে সাংবিধানিক দায়িত্ব উনারা ব্যতয় ঘটান নাই।
এবং আমরা এটাও বলেছি যে আর্টিকেল সেভেন অফ দ্য কনস্টিটিউশন, আর্টিকেল ২৭ অব কনস্টিটিউশন—জনগণের যে ক্ষমতা, সেই ক্ষমতা তারা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিবেন।
এবং জুলাই বিপ্লবের স্প্রিট অনুযায়ী কাজ করবেন।”
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি আমাদেরকে উনারা আন্দোলন সংগ্রামের দিকে অথবা বা আদালতের দিকে ঠেলে দিবেন না,
এবং যাতে ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কোনোভাবে বিঘ্নিত না হয়।