বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন স্থগিত করেছে, ফলে দলটি আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এই সিদ্ধান্ত ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ছাত্র আন্দোলন দমনকালে সংঘটিত সহিংসতার জন্য আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চলমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে সরকারি চাকরির কোটাব্যবস্থার বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়, যা পরে দেশব্যাপী বিক্ষোভে রূপ নেয়। এই আন্দোলন দমনকালে নিরাপত্তা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সহিংসতায় বহু মানুষ নিহত হয়। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত সহিংসতায় প্রায় ১,৪০০ জন নিহত হয়েছে ।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়।
২০২৫ সালের ১০ মে, সরকার আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম, অনলাইনসহ, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এরপর ১২ মে নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন স্থগিত করে, ফলে দলটি আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না