আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির দীর্ঘ রাজনৈতিক লড়াই-সংগ্রামের কারণেই স্বৈরতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা পুরোপুরি প্রতিষ্ঠা পায়নি বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকলেও তার সামনে সবচেয়ে বড় বাধা ছিল বিএনপি। ভয় দেখানো, লোভ দেখানো— নানা চেষ্টা করেও বিএনপিকে ভাঙতে পারেননি তিনি। এখন সেই দলের নেতৃত্বকে কেন্দ্র করে ভয়ংকর রকমের কুরুচিপূর্ণ প্রচার চালানো হচ্ছে।
ডা. জাহেদ আরও বলেন, কম্বোডিয়ায় হুন সেন বিরোধী শক্তিকে ধ্বংস করে শতভাগ স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শেখ হাসিনাও একই পথে হাঁটতে চেয়েছেন, কিন্তু বিএনপি সবসময় প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী লালচাঁদ সোহাগ হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকারের ভূমিকা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেন। বলেন, সরকারের উপদেষ্টারা বিএনপির বিরুদ্ধে এনসিপি’র ভাষায় কথা বলছেন। এমনকি সরকার-ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরাও এখন এই অপপ্রচারে যুক্ত হয়ে পড়েছেন।
তিনি বলেন, যেখানে সরকারের দায়িত্ব ও ব্যর্থতা স্পষ্ট, সেখানে প্রতিবাদ হওয়ার কথা ছিল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানিয়ে, কিন্তু তার বদলে মিছিল হচ্ছে বিএনপির বিরুদ্ধে। এটি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়ে ডা. জাহেদ বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক যখন উঁচু দামে ডলার কিনে নেয় এবং ডলার ফ্লোট করে দেয়, সেটি স্পষ্ট সংকেত— আমাদের অর্থনীতি সংকুচিত হচ্ছে। রপ্তানি ও আমদানির হার কমে গেছে, ব্যবসায়ীরা কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।”
তিনি আরও বলেন, দেশে দ্রুত নির্বাচন চায় সবাই, বিশেষ করে ব্যবসায়ী মহল। শুধু কিছু গোষ্ঠী ও রাজনৈতিক দল রয়েছে যারা এই অনিশ্চয়তাকে টিকিয়ে রাখতে চায়। তবে যত চক্রান্তই হোক, শেষ পর্যন্ত দেশে একটি নির্বাচন হবেই।