আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কার্যক্রম স্থগিত থাকা দলগুলো অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। এর ফলে আওয়ামী লীগও প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
বুধবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সানাউল্লাহ বলেন, যে দলের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে, তাদের প্রতীকও স্থগিত থাকবে। সেই দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানো যাবে কি না—তা সময়ই বলবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন প্রসঙ্গে সানাউল্লাহ আরও জানান—
- আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তালিকায় সশস্ত্র বাহিনী যুক্ত হয়েছে।
- জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা ভোটকেন্দ্র স্থাপন করবেন।
- ফেরারি আসামি, লাভজনক পদে থাকা ব্যক্তি, বা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবীরা প্রার্থী হতে পারবেন না।
- প্রার্থীর জামানত ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
- একক প্রার্থী থাকলে ব্যালটে ‘না ভোট’ থাকবে।
- ইভিএম ব্যবহার সম্পূর্ণ বাতিল করা হয়েছে।
- মিডিয়ার প্রতিনিধিরা ভোট গণনায় উপস্থিত থাকতে পারবেন।
- নির্বাচনী পোস্টার নিষিদ্ধ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
তিনি আরও জানান, নিষিদ্ধ কোনো রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ও প্রতীক স্থগিত থাকবে এবং এ বিষয়ে কমিশনের অবস্থান পরিষ্কার।