প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের নীতিমালার সুবিধাভোগীদের তালিকায় উঠে এসেছে স্পেসএক্সের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিংক-এর নাম। ওয়াশিংটন পোস্ট এবং টেকক্রাঞ্চের এক যৌথ প্রতিবেদনে জানা গেছে, ফাঁস হওয়া স্টেট ডিপার্টমেন্টের একাধিক গোপন নথিতে এই তথ্য উঠে এসেছে।
নথিগুলোতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশকে স্টারলিংক গ্রহণে উৎসাহিত করছে এবং কখনো কখনো চাপ প্রয়োগ করছে। এর পেছনে যুক্তি দেওয়া হচ্ছে—যেসব দেশ স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তিতে যাবে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা এবং শুল্ক হ্রাসে বাড়তি সুবিধা পেতে পারে।
নথির একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হচ্ছে আফ্রিকার ক্ষুদ্র দেশ লেসোথো। দেশটির ওপর যুক্তরাষ্ট্র ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করেছিল। এরপর দেশটি স্টারলিংকের সঙ্গে ১০ বছরের একটি চুক্তিতে সই করে। ধারণা করা হচ্ছে, এমন চুক্তি দেশটির ওপর শুল্ক কমানোর পথ সুগম করতে পারে।
স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক দীর্ঘদিন ধরেই ট্রাম্প প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যদিও হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এতে কোনো স্বার্থের দ্বন্দ্ব নেই।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট অবশ্য বিষয়টিকে চীনের প্রযুক্তি প্রতিযোগিতার প্রেক্ষাপটে “দেশপ্রেমমূলক উদ্যোগ” হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে।
এদিকে স্পেসএক্স এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, প্রযুক্তিকে কূটনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার দৃষ্টান্ত এটি, যা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করছে।