ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অভিযোগে আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ছাত্র-জনতার লাগাতার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদচ্যুত হওয়ার পর এবার তার সম্পদের উৎস ও বৈধতা যাচাইয়ে মাঠে নামছে সংস্থাটি।
রোববার (১৮ মে) দুদকের পক্ষ থেকে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়, যার নেতৃত্বে রয়েছেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান। দুদকের একটি উচ্চপর্যায়ের সূত্র অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরুর তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এই টিম শেখ হাসিনার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের বিস্তারিত হিসাব, আয়কর নথি ও অন্যান্য আর্থিক দলিল পর্যালোচনা করবে। লক্ষ্য একটাই—আয় ও সম্পদের মধ্যে বৈষম্য থাকলে তা উদঘাটন করা এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া।
এর আগেও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির ঘটনায় চার্জশিট জমা দেওয়ার পর আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। একই মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার পরিবারের সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিনসহ গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তা। এসব মামলায় মোট ৬টি অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুদক।
এছাড়াও বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে শেখ হাসিনা, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এবং সাবেক সচিব মোকাম্মেল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলেও এখনও তাদের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি।