বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার ঐতিহ্যবাহী খলিলুর রহমান (কেআর) ডিগ্রি কলেজে অনুষ্ঠিত এক প্রাণবন্ত অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত গভর্নিং বডির সভাপতি শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু-কে সংবর্ধনা জানানো হয়। একইসাথে, শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিষ্ঠানমুখী করতে করণীয় বিষয় নিয়ে এক উন্মুক্ত মতবিনিময় সভার আয়োজন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার, ২২ মে দুপুর ১২টায় কলেজের নিজস্ব সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, প্রশাসনিক এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোল্লাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হরেকৃষ্ণ অধিকারী। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “বর্তমান প্রজন্মকে আগামীর জন্য দক্ষ ও সুশিক্ষিত জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য শিক্ষক, অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক অংশগ্রহণ জরুরি।” তিনি শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে শিক্ষার্থীদের সম্ভাবনাকে বাস্তব রূপ দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানের অন্যতম ব্যাক্তিত্ব কলেজ গভর্নিং বডির নবনির্বাচিত সভাপতি শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু সংবর্ধনা ও শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভা আয়োজনের জন্য সবার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ও বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনায় শিক্ষা ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। শিক্ষার মানোন্নয়নে কোনো আপস নয়-এটাই আমাদের অঙ্গীকার।” একইসাথে তিনি কলেজের সার্বিক উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ এল জাকির হোসেন। আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন মোল্লাহাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সিকদার জামাল উদ্দিন, সদস্য সচিব মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সাহেদ আলী, সহকারী অধ্যাপক মনিরুজ্জামান শাহীন এবং সরকারি ওয়াজেদ মেমোরিয়াল মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম ফরিদ আহমেদ।
সভায় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ রিয়াজুল ইসলাম মিয়া ছাড়াও বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা অংশ নেন। অংশগ্রহণকারীরা কলেজের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা করেন এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানটি এক উচ্ছ্বসিত ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে শেষ হয়। সভার শেষাংশে উপস্থিত সবাই কলেজের শিক্ষার মানোন্নয়নে একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন, যা ভবিষ্যতে কলেজের অগ্রযাত্রায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
