গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান অভিযোগ করেছেন, তাদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলা হত্যার উদ্দেশ্যেই চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় সরকারের কাছে তিনি তিন দফা দাবি উত্থাপন করেছেন।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এ দাবি জানান। এর আগে দলীয় নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সেখানে জড়ো হন।
রাশেদের তিন দাবি হলো—
১. আজকের মধ্যেই সরকারের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।
২. স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে।
৩. আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “নুরকে হত্যার উদ্দেশে বুটজুতা দিয়ে পেষণ করা হয়েছে। অনেকেই বলছেন আমরা নাকি জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে গিয়েছিলাম, তাই মারধর হয়েছে। অথচ বাস্তবে আমাদের কার্যালয়ের সামনে আসার পরই নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। হামলায় সেনাবাহিনীর সদস্যও জড়িত ছিলেন, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।”
রাশেদ খান আরও দাবি করেন, নুরের ওপর হামলা ছিল ‘মাস্টার প্ল্যান’। তিনি পুলিশ ও প্রতিরক্ষা খাতে সংস্কার কমিটি গঠনেরও আহ্বান জানান।
নুরের প্রতি খোঁজখবর নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “এই হামলার অজুহাতে কেউ যেন নির্বাচন পেছানো বা এক-এগারোর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা না করে।”
সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের অন্যান্য নেতাদের পাশাপাশি অংশ নেন নুরের ছোট ভাই আমিনুল হক নুরও। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, তাদের মধ্যে ছিলেন—ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির, জাগপার একাংশের চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান ও জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।