ঢাকা: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটির সকল ধরনের রাজনৈতিক, সাংগঠনিক ও ডিজিটাল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সিদ্ধান্ত এসেছে আজ শনিবার রাতে এক বিশেষ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক থেকে, যা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। রাত সাড়ে আটটা থেকে শুরু হয়ে পৌনে ১১টা পর্যন্ত চলা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মো. মাহফুজ আলম।
আইন বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এক লিখিত বিবৃতিতে জানান, সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই সংশোধনীর মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালকে রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন এবং সমর্থক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
আসিফ নজরুল আরও জানান, দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, ‘জুলাই আন্দোলন’-এর নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার কথা বিবেচনায় নিয়েই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে এবং প্রয়োজনীয় সরকারি পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে।
এছাড়া সভায় “জুলাই ঘোষণাপত্র” আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।
এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরনের পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে বলে বিশ্লেষকদের মত।