অনেকেই প্রায়ই বদহজম ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগেন। সমাধান হিসাবে হাতের কাছে থাকা অ্যান্টাসিড খেয়ে স্বস্তি পেতে চান। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এসব ওষুধ সাময়িক স্বস্তি দিলেও মূল কারণ না বুঝলে সমস্যা বারবার ফিরে আসবে।
আসলে আমাদের কিছু দৈনন্দিন অভ্যাসই অ্যাসিডিটির প্রধান উৎস। একটু সচেতন হলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
১. সকালের নাশতা বাদ দেওয়া
দিনের প্রথম খাবার না খেলে শরীরের বিপাকক্রিয়া ব্যাহত হয়। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করে, পেটে গ্যাস হয় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ওজন বেড়ে যায়।
২. রাতের বেলা ভাজা খাবার খাওয়া
রাতে হজম ক্ষমতা কম থাকে। তখন বেশি তেল-মসলা বা ভাজাভুজি খেলে তা হজমে বিঘ্ন ঘটায়, গ্যাস তৈরি করে এবং শরীরে টক্সিন জমে।
৩. দীর্ঘ সময় পেট খালি রাখা
সকালে ভারী নাশতা করে কেউ কেউ দুপুরে কিছু না খেয়েই রাতে ডিনারে ভরপুর খান। আবার অনেকেই কাজের ব্যস্ততায় একেবারে খাবার মিস করেন। দীর্ঘসময় না খাওয়া অ্যাসিড উৎপাদন বাড়ায় এবং হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে।
৪. খাবারে ফাইবারের ঘাটতি
সুষম খাদ্যতালিকায় ফাইবার অপরিহার্য। ফাইবার কম থাকলে হজম ধীর হয়ে যায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। ফলে অ্যাসিডিটিও বেড়ে যায়।
৫. খাওয়ার পরপর ঘুমিয়ে পড়া
রাতের খাবার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়লে পাকস্থলীর কাজ ব্যাহত হয়। ফলে অ্যাসিড বেড়ে গলা-বুকে জ্বালার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অন্তত ৩০ মিনিট হেঁটে নেওয়া উচিত।
অ্যাসিডিটির মূল কারণ ওষুধ নয়, অভ্যাস। অল্প কিছু পরিবর্তন—যেমন সময়মতো খাওয়া, হালকা হাঁটাচলা, ও ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া—এই সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান দিতে পারে।
সুস্থ হজম, স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য অভ্যাস বদলান, অ্যান্টাসিড নয়।