গণমাধ্যম কিছুটা স্বাধীনতা ফিরে পেলেও এখনো পুরোপুরি ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রভাব থেকে মুক্ত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, “৫ আগস্টের ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর গণমাধ্যমে স্বাধীনতার আভাস মিললেও তা এখনো সীমিত। গণমাধ্যম আজও শাসকগোষ্ঠীর ছায়া থেকে মুক্ত নয়।”
তিনি আরও বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৬ জুন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত অধ্যায়। এদিন বাকশাল প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা হয় এবং মাত্র চারটি পত্রিকা রেখে বাকস্বাধীনতা চরমভাবে খর্ব করা হয়। হাজার হাজার সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী সে সময় বেকার হয়ে পড়েন, তাদের পরিবার অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে যায়।”
তারেক রহমান দাবি করেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র, মতপ্রকাশ ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা। “স্বাধীনতা-পরবর্তী ক্ষমতাসীনরা সেই চেতনাকে পদদলিত করে একদলীয় কর্তৃত্ববাদ চাপিয়ে দিয়েছিল,” — বলেন তিনি।
তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, “জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসনের কালো অধ্যায় মুছে দিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করেন এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন। তার হাত ধরেই দেশে মতপ্রকাশের অধিকার ও রাজনৈতিক বহুমাত্রিকতা ফিরে আসে।”
এদিকে পৃথক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা তখনই সম্ভব, যখন দেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। বর্তমান কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থায় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কল্পনাতীত।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপি বরাবরই বহুদলীয় গণতন্ত্রের পক্ষে, মতের বৈচিত্র্য ও মতপ্রকাশের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বারবার অগ্নিপরীক্ষা দিয়েছে। সেই সংগ্রাম এখনো চলমান।”