চাঁদাবাজির অভিযোগে জড়িত নেতার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের মধ্যেই দেশের সব শাখা কমিটি স্থগিত করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রোববার রাজধানীর শাহবাগে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাবেক সমন্বয়ক রিফাত রশিদ এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল ইউনিটের কার্যক্রম স্থগিত করা হলো। সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিছু অপশক্তি প্ল্যাটফর্মটি কলুষিত করতে তৎপর। তাদের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে সংগঠনকে পরিষ্কার ও স্বচ্ছ রাখতে হবে।”
সংবাদ সম্মেলনের আগে সংগঠনের একটি শাখার শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির গুরুতর অভিযোগ উঠে আসে। অভিযোগ অনুযায়ী, সংগঠনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কয়েকজন সহযোগী রাজধানীর গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে হুমকি দেওয়া হয় এবং পরে জোরপূর্বক ১০ লাখ টাকা আদায় করা হয় বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী সিদ্দিক আবু জাফর ( শাম্মী আহমেদের স্বামী ) গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের মধ্যে রিয়াদসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ এবং তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
রিফাত রশিদ আরও বলেন, “যারা সংগঠনের নাম ব্যবহার করে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাই। সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে হলে এ ধরনের দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি।”
এ ঘটনায় সংগঠনের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষায় কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া দেশের সব শাখা কমিটির কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
সূত্র: অনলাইন নিউজ পোর্টাল